Email : weekly Surjodoy.us@gmail.com
JamalChowdhury 111@yahoo.com
Website:weekly-Surjodoy.com
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় এরইমধ্যে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক পৌঁছেছে। এছাড়া তেল আবিব সেখানে গত কয়েক মাস যাবৎ নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। গত রোববারও ইসরাইলের একটি বিমান হামলায় রাফার একটি শরণার্থী শিবিরের তাঁবুতে আগুন লেগে অন্তত ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কিন্তু রাফায় ইসরাইলের এমন নৃশংসতার পরেও মার্কিন প্রশাসন মনে করেন তেল আবিব এখনও যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কসীমা অতিক্রম করেনি। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় এখনও পূর্ণমাত্রার হামলা শুরু করেনি ইসরাইল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
রাফার কেন্দ্রে ইসরাইলি সামরিক ট্যাঙ্ক প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা পরেই এমন মন্তব্য প্রকাশ করলেন হোয়াইট হাউজের ওই মুখপাত্র। যদিও এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, রাফায় এখনও হাজার হাজার শরণার্থী তাদের আশ্রয়ের খোঁজে রয়েছেন। এখানে এখন পূর্ণমাত্রার হামলা চালালে এটা তেল আবিবের জন্য সতর্কসীমা অতিক্রমের সামিল হবে বলে ইসরাইলকে সতর্ক করেছিলেন তিনি। শরণার্থী তাঁবুতে ইসরাইলি হামলার ঘটনায় আগুন লেগে ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জন কিরবিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেখানে সেদিন নারী ও নিরপরাধ শিশু নিহত হয়েছেন। এটা সত্যিই হৃদয়বিদারক এবং মর্মান্তিক।
সংঘাতের ফলে এভাবে নিরপরাধ জীবন কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
অবশ্য ইসরাইল তাঁবুর ওই ঘটনায় হামাসকে দায়ি করেছে। তারা বলেছে, সেখানে হামাসের বিস্ফোরক সরঞ্জাম থাকায় গোলাগুলিতে তাঁবুতে আগুন লেগে মানুষজন প্রাণ হারিয়েছেন। এক্ষেত্রে কিরবি বলেছেন ইসরাইল এ বিষয়টি তদন্ত করছে তবে ওই ঘটনার ফলে রাফায় ইসরাইলের নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা মনে করিনা যে ইসরাইল রাফায় এখনও তাদের পূর্ণমাত্রার অভিযান শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। ইসরাইলের দাবি সেসময় হামাস ১২০০ ইসরাইলিকে হত্যা করেছে এবং তিন শতাধিক নাগরিককে জিম্মি করেছে হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। এতে এপর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের তথ্যমতে গাজায় ৬০ শতাংশের বেশি স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরাইল। কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া গাজার গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ায় সঠিক চিকিৎসা সেবাও ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে সেখানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
...